“পাচটি জিনিস খুব খারাপ১) আলেমের খারাপ কাজ২) শাসকের লালসাবৃত্তি৩) বৃদ্ধের জেনাকারিতা৪) ধনীর কৃপণতা৫) নারীর নির্লজ্জতা”
“একদিন আমি তেতাল্লিশ বার সূর্য ডুবতে দেখলাম।' একটু পরে সে আরও বলল--'জানো, লোকেদের যখন খুব মন খারাপ থাকে তখন সূর্যডোবা দেখতে ভাল লাগে।''তেতাল্লিশবারের দিন তাহলে তোমার খুব মন খারাপ ছিল?' কোন জবাবই কিন্তু দিল না খুদে রাজকুমার।”
“তোমারো চোখের খুব গভীরে এক বর্ণহীন দাহ-হৃদয়ের ক্ষতের মতো তুমি তাকে গোপনে লুকিয়ে রেখেমুখে শুধু এঁকেছো এক সুদূরের অচেনা হাসি ...”
“একটি একা মেয়ে ইচ্ছে করলেই বাজার যেতে পারে, ডাক্তার এর সঙ্গে দেখা করে ওষুধ আনতে পারে । কিন্তু এসব করণীয় কাজ কেউ আন্তরিকতার সাথে করে দিলে একধরনের আরাম হয় । মনের আরাম । অলোকের কথা মনে পড়ে গেল তার ।ইচ্ছে করলেও মানুষটাকে ভুলে থাকতে পারেনা সে । সম্পর্কে যতই মতবিরোধ হোক, মানুষের সঙ্গে থাকার একধরনের যে সাহচর্যের আরাম আছে --- এ সবই এই একজীবনের জন্য মনের গায়ে গাঁথা হয়ে রইলো । অলোক আর কিছু না হোক খুব ভালো বন্ধু হয়েও তো থাকতে পারত ।”
“সাহিত্যের জগৎটিকে আমি যেভাবে আবিষ্কার করেছি সেটা আমার জন্য খুব একটা সুখকর অভিজ্ঞতা হয় নি। এ জগতের অধিকাংশ লোককে আমি যেভাবে চিনেছি সেটা আমার একেবারেই ভালো লাগে নি…আমি এই জগৎটির সঙ্গে এত গভীরভাবে সম্পৃক্ত ছিলাম যে, বহু লেখকের হাঁড়ির খবর আমার জানা হয়ে গিয়েছিলো। মানুষ হিসেবে যে এঁরা কতটা অসৎ, ভণ্ড, বদমাশ হতে পারে তা আমি দেখেছি।...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে, ধ্যান-মগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?”