“মেয়েরা অল্প কারণে কাদতে জানে এবং বিনা কারণে হাসতে পারে, কারণ ব্যতীত কার্য হয় না, জগতের এই কড়া নিয়মটা কেবল পুরুষের পক্ষেই খাটে । ....রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর”
“সাহিত্যের জগৎটিকে আমি যেভাবে আবিষ্কার করেছি সেটা আমার জন্য খুব একটা সুখকর অভিজ্ঞতা হয় নি। এ জগতের অধিকাংশ লোককে আমি যেভাবে চিনেছি সেটা আমার একেবারেই ভালো লাগে নি…আমি এই জগৎটির সঙ্গে এত গভীরভাবে সম্পৃক্ত ছিলাম যে, বহু লেখকের হাঁড়ির খবর আমার জানা হয়ে গিয়েছিলো। মানুষ হিসেবে যে এঁরা কতটা অসৎ, ভণ্ড, বদমাশ হতে পারে তা আমি দেখেছি।...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে, ধ্যান-মগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?”
“কারণ হৃদয় একটাই। বড় গতিপ্রিয় হয় এই বস্তু, বড় স্পর্শকাতর।শুধায়, মনে আছে একবার বৃষ্টি নেমেছিল? সেই বৃষ্টির ফোঁটাকে মনে হয় তোমার পায়ের শব্দপাতার শব্দকে মনে হয় তোমার গাড়ীর আওয়াজ...”
“জাত গেল জাত গেল বলেএকি আজব কারখানাসত্য কাজে কেউ নয় রাজিসবই দেখি তা না না না….আসবার কালে কি জাত ছিলেএসে তুমি কি জাত নিলেকি জাত হবে যাবার কালেসে কথা ভেবে বলো না…ব্রাহ্মণ চন্ডাল চামার মুচিএকি জলেই সব হয় গো সুচিদেখে শুনে হয় না রুচিযমে তো কাউকে ছাড়বে না…গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়তাতে ধর্মের কি ক্ষতি হয়লালন বলে জাত কারে কয়সে ঘোরও তো গেল না…জাত গেল জাত গেল বলেএকি আজব কারখানা…….”
“গ্রহণ আর প্রাপ্তি বিশেষ সাহসের বিষয় নয়। সাহস তো প্রমাণিত হয় ত্যাগ ও বিসর্জনে।”