“চাঁদের কি জানি কি অসুখ হয়েছে সেও আজ আসেনি।আর আমি ঘুমকে ঘুম পাড়িয়ে জেগে আছি তোমার অপেক্ষায়।আমি জানি তুমি আসবে,”
“আমাকে কেউ বোঝাইতে পারলে না যি সেই দ্যাশটো আমি মোসলমান বলেই আমার দ্যাশ আর এই দ্যাশটি আমার লয় । আমাকে আরো বোঝাইতে পারলে না যি ছেলেমেয়ে আর জায়গায় গেয়েছে বলে আমাকেও সিখানে যেতে হবে । আমার সোয়ামি গেলে আর আমি কি করব ? আমি আর আমার সোয়ামী তো একটি মানুষ লয় , আলেদা মানুষ। খুবই আপন মানুষ, জানের মানুষ , কিন্তুক আলেদা মানুষ ।”
“তোমাকে যখন দেখি, তারচেয়ে বেশি দেখিযখন দেখি না।চড়ুই পাখিরা জানেআমি কার প্রতিক্ষায় বসে আছি-তুমি ব্যস্ত, তুমি একা, তুমি অন্তরাল ভালোবাসো!সন্ন্যাসীর মতো হাহাকার করে উঠি-দেখা দাও, দেখা দাও,পরমুহূর্তেই ফের চোখ মুছি।হেসে বলি,তুমি যেখানেই যাও, আমি সঙ্গে আছি!”
“সাহিত্যের জগৎটিকে আমি যেভাবে আবিষ্কার করেছি সেটা আমার জন্য খুব একটা সুখকর অভিজ্ঞতা হয় নি। এ জগতের অধিকাংশ লোককে আমি যেভাবে চিনেছি সেটা আমার একেবারেই ভালো লাগে নি…আমি এই জগৎটির সঙ্গে এত গভীরভাবে সম্পৃক্ত ছিলাম যে, বহু লেখকের হাঁড়ির খবর আমার জানা হয়ে গিয়েছিলো। মানুষ হিসেবে যে এঁরা কতটা অসৎ, ভণ্ড, বদমাশ হতে পারে তা আমি দেখেছি।...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে, ধ্যান-মগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?”
“হেঁয়ালি রেখো না কিছু মনে;হৃদয় রয়েছে ব'লে চাতকের মতন আবেগহৃদয়ের সত্য উজ্জ্বল কথা নয়,-যদিও জেগেছে তাতে জলভারানত কোনো মেঘ;হে প্রেমিক, আত্মরতিমদির কি তুমি?মেঘ;মেঘ, হৃদয়ঃ হৃদয়, আর মরুভূমি শুধু মরুভূমি..”
“আমাকে পাঠালে নির্বাসনে, দিলে দন্ড ভয়ংকর।তোমার সান্নিধ্য থেকে, অমন দৃষ্টির থেকে দূরে,বহুদুরে চকিতে সরিয়ে দিলে- এই শাস্তি, বলো,মৃত্যুর চেয়েও বেশি, ঢের বেশি নয় কি কঠোর?”