“আমাদের তপু মাত্র তিনটা শব্দ জানে। একটা হচ্ছে 'ও', আরেকটা 'আচ্ছা' আর আরেকটা 'তাই নাকী!”
“আমাদের পরিবারগুলো যেন হয়ে ওঠে নারী-অধিকার ও নারী-মর্যাদা রক্ষার আদর্শ অঙ্গন”
“গ্রহণ আর প্রাপ্তি বিশেষ সাহসের বিষয় নয়। সাহস তো প্রমাণিত হয় ত্যাগ ও বিসর্জনে।”
“বাচ্চা নিতে একটুও আপত্তি ছিলনা দীপাবলীর । পরে অলোক নিজেই ঠিক করলো আরো বছর দুয়েক অপেক্ষা করবে সে । আরেকটু ভালোভাবে গুছিয়ে নিত চায় সব । এখন সেসব পালা চুকে গেছে ।আজ দীপাবলীর হঠাৎ মনে হলো তার সামনে শুধুই শুন্যতা ।এ জীবনে আর কখনই শিশুর জননী হতে পারবেনা সে । কে জানে হয়ত তার ভেতরে একটা লজ্জাকর অক্ষমতা ছিল, যা প্রকাশ পেলনা এ জীবনের মত ।”
“আমাদের সেই কথোপকথন, সেই বাক্যালাপগুলিগ্রন্থিত করলেপৃথিবীর একটি শ্রেষ্ঠ প্রেমের কবিতা হতে পারতো;হয়তো আজ তার কিছুই মনে নেইআমার মনে সেই বাক্যালাপগুলি নিরন্তর শিশিরহয়ে ঝরে পড়ে,মৌমাছি হয়ে গুনগুন করে স্বর্ণচাঁপা আর গোলাপহয়ে ঝরতে থাকে;সেই ফুলের গন্ধে, সেই মৌমাছির গুঞ্জনেআর কোকিলের গানেআমি সারারাত ঘুমাতে পারি না, নিঃশ্বাস ফেলতেপারি না”
“সাহিত্যের জগৎটিকে আমি যেভাবে আবিষ্কার করেছি সেটা আমার জন্য খুব একটা সুখকর অভিজ্ঞতা হয় নি। এ জগতের অধিকাংশ লোককে আমি যেভাবে চিনেছি সেটা আমার একেবারেই ভালো লাগে নি…আমি এই জগৎটির সঙ্গে এত গভীরভাবে সম্পৃক্ত ছিলাম যে, বহু লেখকের হাঁড়ির খবর আমার জানা হয়ে গিয়েছিলো। মানুষ হিসেবে যে এঁরা কতটা অসৎ, ভণ্ড, বদমাশ হতে পারে তা আমি দেখেছি।...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে, ধ্যান-মগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?”